December 23, 2024, 7:54 pm
মো,জীবন হোসেনঃ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার কে কলকাতায় হত্যার ঘটনা জানাজানির পর শিলাস্তি রহমান নামের এক তরুণীর নাম সামনে এসেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন শিলাস্তিকে হানি ট্রাপ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। হত্যা মিশন ঘটিয়ে মুল কিলার আমানুল্লাহর সঙ্গে তিনি গত ১৫ মে দেশে ফেরেন।ওই তরুণীকে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের বান্ধবী শিলাস্থি রহমান। তার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। কলকাতা পুলিশ ও ফ্লাট কম্পাউন্ডের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছে, গত ১৩ মে ওই ফ্ল্যাটে একসঙ্গে তিনজন ঢোকেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। একদিন ফ্লাটে অবস্থানের পর বের হয়ে আসেন এক পুরুষ ও এক নারী। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)সূত্র বলছে তাদেরও ধারণা ওই নারী শিলাস্তি। কারণ তিনি 15 মে বিমানযোগে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে দেশে ফেরেন মূল ধাতক আমানুল্লাহ। সূত্রটি আরো জানাই, ধারণা করা হচ্ছে এমপি আনার কে কলকাতা নিতে এই নারীকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিন। কারণ সব পরিকল্পনা করে মাহিন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতা। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগএর দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলছেন, হত্যাকান্ডের সময়ে শিলাস্তি তিনতলা ফ্লাটে একটি তলায় অবস্থান করেছিলেন। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। ওই নারী শিলাস্তি কিনা তদন্ত চলছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তারে ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়ী অংশীদার আখতারুজ্জামান শাহিন। তিনি ঝিনাইদহের বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। শাহিনুর ভাই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র। এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব যা হয়েছিল আরেক বন্ধু ও চরমপন্থী নেতা আমানুল্লাহ আমানকে।কলকাতায় বসে হত্যার চূড়ান্ত ছক একে বাংলাদেশে চলে আসেন শাহীন। পরে আমান সহ 6 জন মিলে আজিমকে সঞ্জীবা গার্ডেন নামের একটি ফ্লাটে ট্রাপে ফেলে ডেকে আনেন। এরপর তাকে জিম্মি করে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে টলি ব্যাগে ভরে ফেলা হয় অজ্ঞাত স্থানে।